২০২০ এ জেকে বসা করোনা মহামারির সাথে দেশজুড়ে দুর্নীতির ঘটনাও রুপ নিয়েছিল মহামারিতে। দুর্নীতিতে আলোচিত ছিলো স্বাস্থ্য, ব্যাংকিং, লিজিংসহ বিভিন্ন খাত। রাঘব বোয়াল দুর্নীতিবাজদের পেছনেই ঘাম ঝরাতেই বছর কেটেছে দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠান, দুদকের।
পাচারের মাত্র ৪১ কোটি টাকা ফেরত আনতে পারলেও, বিপরীতে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অনুসন্ধানেই পার হয়েছে বছরটি। দুর্নীতিতে দেশবাসীকে চমকে দিয়েছে সরকারী ড্রাইভারের কয়েকশ কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া, পিকে হালদারের ৩৫শ কোটি কিংবা ছাত্র নেতার ২ হাজার কোটি পাচারের ঘটনা।
বাংলাদেশে করোনা আর দুর্নীতি যেনো পাশাপাশি পথে-ই হেটেছে ২০২০ এ। ভাইরাস আর দুর্নীতির বিষে যেনো নীল কন্ঠ বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতিতে হাজার কোটি টাকা লুটপাটের মাফিয়া মিঠু কিংবা তারই শিষ্য অধিদপ্তরের কেরানী আফজাল রুবিনা দম্পত্তির হাজার কোটি টাকার সম্পদ অণুসন্ধানের রেশটা তখনো বাকি। চলেছে পিকে হালদারের ৩৫শ কোটি টাকা পাচারের তথ্য উদঘাটন।
এরইমধ্যেও পুরনো ঢাকায় ভাঙ্গারীর দো্কান থেকে দুই সহোদরের ১২০টি বাড়ি ও নগদ কোটি কোটি টাকা অণুসন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। টক অব দ্যা হয় কান্ট্রি এনু-রুপন। পরের গল্পটা ভয়ঙ্কর মহামারি করোনা কেন্দ্রিক।
মহামারি নিয়ে আলোচনা যা হয়েছে তার চেয়ে ঢের বেশি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে নকল মাস্ক সাপ্লেইয়ের নামে দুর্নীতির ঘটনা। ঘটনার সূত্র ধরে দুদকের মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে জেএমআই তমাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তিকে।
ব্যাক্তি হিসেবে স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধেও অভিযোগের অন্ত নেই। সংকটে গরীবের মুখের খাবার, চাল গম তেল চুরি করতে গিয়ে সমালোচিত হয়েছেন দেশজুড়ে। হারিয়েছেন পদও।
পদের পুরো সদ্ব্যাবহার করে চমক দেখিয়েছেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ। ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে এখন কারগারে বন্দী এই ছাত্র নেতা।
পদে গাড়ী চালক হলেও, দুর্নীতিতে শত কোটি টাকা হাতিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ড্রাইভার। দুর্নীতি মহামারির পথটা আরো দীর্ঘ করে বাড্ডা থেকে বেরিয়েছে সম্পদের আরেক মাফিয়া ডন গোল্ডেন মনির। বাড্ডায় ১শর বেশি প্লট বাজার মার্কেট, রাজপ্রাসাদ ভর্তি সোনা আর গাড়ীর ব্যবসায় ফের দীর্ঘশ্বাস ছেড়েছে দেশের মানুষ।